কবিতা : কুকুরের আর্তনাদ, মা-বাবা, বলতে পার?, আল্লাহর পথে, পৃথিবীর মায়া : মৃত্যু তোমার পাশে,


সুফিয়া খাতুন :

কুকুর বলে, হে প্রভু
তোমার সৃষ্টির মাঝে মানুষ শ্রেষ্ঠ
আর আমি ঘৃণিত একটি প্রাণি
আমাকে বানিয়েছ নাপাক, আমার দাঁতে,
নখে আছে জলাতংক রোগ
মুখের লালায় বয়ে বেড়াচ্ছি রোগজীবানু।
কখনো কখনো আমি আতংকের একটি প্রাণী।
মানুষের উচ্ছিষ্ট পঁচাবাসী
ডাস্টবিনের ফেলে আসা খাবার-ই যেন
আমার কাছে অমৃত, জীবন-ধারণের খাদ্য।
তোমার সৃষ্টির সেই মানুষ আমাকে একটু
আদর, ¯েœহ আর খাদ্য দিলে প্রতিদানে
নিজের ঘুম হারাম করে মনিবকে ঘুমাতে দেই।
মনিবের  জন্য নিজের জীবন দিতে কন্ঠাবোধ করিনা।
মাঝে মাঝে আমরা স্বজাতিরা খেলার ছলে
দুষ্টমি কিংবা ঝগড়া করে থাকি।
কিন্তু স্বজাতিকে হত্য করি না। গুম করিনা।
করিনা সন্ত্রাসী।
আজ তোমার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টির দিকে
তাকালে নিজে নিজের কাছে লজ্জা পাই্
শুনেছি তোমার উপাসনার জন্য মানবকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছ।
অথচ স্বার্থের জন্য তারা প্রতারণা,
আত্মসাৎ, খুন, ছিন্তাই সন্ত্রাসী ও রাহাজানীতে ব্যস্ত
তোমার উপাসনা ভুলে গিয়ে পাপাচারে লিপ্ত,
প্রশ্ন করলে হয়তবা বলবে সবাইতো
এমন জঘন্য নয়।
আমিও মেনে নেব সবাই নয়।
তবে যারা এমন তারা কি আমাদেরই
ন্যায় ঘৃণিত প্রাণী হয়?

 

মা বাবা : নূরে-ই ইয়াসমিন ফাতেমা :

বাবা মায়ের চোখের পানি
মুছে দিতে চাই
তোমরা দুজন আর কেঁদো না
দুঃখ ভীষণ পাই।
তোমাদের এই কষ্ট দেখে
হৃদয় ফেটে যায়
তবে কি আর মূল্য থাকে
ভবের দুনিয়ায়।
পৃথিবীর বুকে তোমরা দুজন
বড়ই আপনজন
তোমাদেরই দুঃখ দেখলে
কাঁদে আমার মন।
আদর স্নেহ দিয়ে আমায়
দূর করেছ ভয়
হাশরের মাঠে যেন
শান্তির দেখা হয়।

বলতে পার? : এম, ইয়াছিন হোসাইন

বলতে পার কার তুলিতে আকাশ হল নীল
কার তুলিতে ধুসর রং ধারন করল চিল?
বলতে পার গাছ-গাছালী কারই গুণ গায়
কার গান গেয়ে নদী একে বেকে যায়?
বলতে পার পাখ-পাখালী কারই যিকির করে
কার হুকুমে বলতে পার গাছের পাতা নড়ে?
তিনি হলেন সৃষ্টা সবার আল্লাহ দয়াবান
গাছ-গাছালী পাখ-পাখালী সবই তারই দান।

আল্লাহর পথে : খন্দকার কুতুবউদ্দিন:

পঙ্কিল, অশ্লীল, অন্ধকারছন্ন পথ ছেড়ে
ফিরে আসি আমরা সরল পথে
শয়তানের কুমন্ত্রণা প্ররোচনায় না পড়ে
চলে আসি নবীর দেখানো সুন্নত পথে
জাহান্নামের পথে অগ্রসর না হয়ে
অগ্রসর হই জান্নাতের পথে
রাগ, ক্রোধ, হিংসা, লোভ-লালসা থেকে দূরে সরে
চলি আল্লাহর পথে
অসামাজিক পরিবেশ থেকে  বের হয়ে
আসুন আমরা দলবদ্ধ হয়ে আল্লাহর পথ অনুসরণ করে
সুন্দর পরিবেশ গঠন করি
সাহাবাদের অনুসরণ করে।

পৃথিবীর মায়া : ফাতেমা নাসির :
পৃথিবীর দিকে তুমি তাকিয়ে থাক সারাক্ষণ
পৃথিবীর মায়া তোমার থাকবে আর কতক্ষণ?
পৃথিবীর মাঝে আছে শুধুই অন্ধকার
থাকবে তুমি এই মায়াতে শুধুই ক্ষণকাল
এই দুনিয়ার সাজে থাকবে কত বেশে
এই দুনিয়ার মাঝে শুধু খুন-খারাবী আছে।
দুনিয়ার এই নানা ছলনা তুমি কেন বুঝনা
জেগে কেন ঘুমাচ্ছ ভাই জাগতে কি পারনা?
পৃথিবীটা অ নেক বড় কিন্তু শোনো ভাই
পৃথিবীর মত উদার মানুষ কেন নাই
পৃথিবীটা অনেক সুন্দর কিন্তু কেন ভাই
সুন্দর চরিত্রের মানুষগুলো কেন নাই?
এই ধরাতে নানা রঙের বহু কিছু আছে
নানা রঙের পাখি আর গাছ-গাছালী আছে
এত নিয়ামত তবু মোরা না শুকরিয়া করি
খোদার কথা একটু মোরা যেন স্মরণ সবাই করি।

মৃত্যু তোমার পাশে
কবি ইকবাল হোসেন

মৃত্যু তোমার পরশিরে ভাই
মৃত্যু তোমার পাশে
কাউকে কোন খবর দিয়ে
কভু নাহি সে আসে।
যখন তখন ডাক দিবে সে
হাজির তুমি থাক
দুনিয়ার এই ধ্যানের আগে
আল্লাহ নামটি রাখ
এ জীবনে যত কিছু
হবে তোমার পর
রাসুল খোদা স্মরণ করে
চল জীবন ভর।
আখেরাতের পুঁজি কর
নামাজ রোজা করে
হালাল হারাম বেছে চল
সারা জীবন ধরে
তোমাকে তুমি বিলিয়ে দাও
সৃষ্টি কর্তার কাজে

দেখবে তুমি সুখের নাগাল

তোমার মনের মাঝে।

সকাল বেলা
মুওয়াবিয়া

সকাল বেলা গাছের ডালে দেখি একটি পাখি
চেয়ে আছে আমার দিকে মেলে দুটি আঁখি।
মিষ্টি সুরে গান করে সবুজ পাতার বাকে
সকাল হলো উঠ সবাই মধুর সুরে ডাকে।
ডালে ডালে লেজ নাড়িয়ে করে হাসাহাসি
আমায় দেখে বলছে যেন তোমার কাছে আসি?
এসেছো তুমি কোথা থেকে বাসা তোমার কই
ঐ আকাশে বাসা আমার গাছের ডালে রই।
হাত ইশারায় ডাকি আমি একটু খানি এসো
উড়াল দিয়ে ঘরের মাঝে সোফায় তুমি বসো।
তখন আমি তারি সাথে মনের কথা বলি
ফুড়–ৎ করে উড়াল দিয়ে বলে এখন আসি!

Related posts

Leave a Comment